গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কাঙ্ক্ষিত নয় : অসীম কুমার উকিল
11 February 2022
গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও সাংসদ অসীম কুমার উকিল। এসব ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়। এটি হওয়া যায় না। তারপরও হচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে আমাদের সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ করা দরকার।’
আজ বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ‘জোরপূর্বক নিখোঁজ এবং রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যাহত হয়েছে বারবার। স্বাভাবিক গতিধারা যখন ব্যাহত হয়েছে, তখন অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড সামনে চলে এসেছে। গুম, অন্তর্ধান যা-ই বলি না কেন, এগুলো অস্বাভাবিক বিষয়। আমাদের দায়িত্ব হলো এগুলো বন্ধ করা।’
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা নিজের ছাত্ররাজনীতির সময়কার ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজের গুম হওয়ার কথা টেনে বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে। রাজনৈতিক মাঠের একজন কর্মী হিসেবে মনে করি, এটি কাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হতে পারে না। যে কারণেই এগুলো হোক না কেন, বন্ধ হওয়া দরকার। এগুলো সবাই মিলে বন্ধ করা দরকার।’
অসীম উকিল বলেন, রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডগুলো হয়। এর ধারাবাহিকতায় এগুলো চলছে। গণতন্ত্রের ধারা বিকাশমান। এই ধারাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। গণতন্ত্রের ধারা যত বেশি শক্তিশালী হবে, তত রাজনৈতিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ফিরে আসবে। এসব অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এই গুম, খুন এগুলো কমে আসবে। একসময় বন্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের ধারাকে শক্তিশালী করার প্রথম যে জিনিস, সেটা হলো নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পালাবদল এবং তা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে এক–এগারো চোখ রাঙানি দেয়।
আওয়ামী লীগের এই সাংসদ বলেন, যাঁরা দেশ পরিচালনা করেছেন, যাঁরা করছেন এবং যাঁরা করতে চান, তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত ও দায়িত্বপূর্ণ অংশগ্রহণে গণতন্ত্রের ধারা আরও শক্তিশালী হবে। তা হলেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের প্ল্যাটফর্ম মায়ের ডাক প্রসঙ্গে অসীম উকিল বলেন, ‘এটা মায়ের ডাক হবে কেন? এটা দেশের ডাক, এটা সবার ডাক। মায়ের ওপর সব দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের আড়াল করছি কি না, সেটা দেখা দরকার। দায়িত্বটা আমাদের, যাঁরা দেশ পরিচালনা করছেন, যাঁরা করেছেন এবং যাঁরা করতে চান। এটা সবার ডাক যখন হবে, তখনই আমরা সম্মুখপানে এগিয়ে যাব।’
News Courtesy: