বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল ইন্দো-প্যাসিফিক

22 November 2022

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত প্রসারিত ইন্দো-প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলব। পাঁচটি বৈশিষ্ট্যকে লক্ষ্য করে গড়ে তোলা হবে এ অঞ্চল। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো অবাধ ও উন্মুক্ত, আন্তঃসংযোগ, সমৃদ্ধিশালী, নিরাপদ এবং কষ্টসহিষ্ণু। এক্ষেত্রে প্রধান দুটি বাধা হলো স্বৈরাচারী প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্রমবর্ধমান আন্তঃদেশীয় হুমকি।

গতকাল সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২২’-এর প্রথম দিনের সংলাপে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

প্রথম দিন আলোচকরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কানেক্টিভিটির সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ড. মনজুর এ চৌধুরী বলেন, ভারত ও চীন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।

কানেক্টিভিটির কথা উল্লেখ করে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কো-অপারেশনের জন্য হার্ড ও সফট কানেক্টিভিটি প্রয়োজন। এছাড়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগেরও প্রয়োজন আছে।

ভূমি ও সমুদ্রের সীমান্ত সংকটকে এ অঞ্চলের সংকট হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ এরিয়ায় বিশ্বাস তৈরি করাটা সবচেয়ে কঠিন হবে। আশা করি কানেক্টিভিটির জন্য সব রাষ্ট্র এগিয়ে আসবে, যেখানে আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে অবদান রাখব।

এ অঞ্চলে চীনের উত্থান একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখেন ড. প্রমোদ জসোল। তিনি বলেন, সেই সুযোগগুলো বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে হবে।

তবে এ অঞ্চলে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়া সার্কের মৃতপ্রায় কার্যক্রম কানেক্টিভিটি না হওয়ার পেছনে দায়ী হিসেবে আলোচকরা উল্লেখ করেন।

পরবর্তী প্লেনারি সেশনে এজেন্ডা তুলে ধরেন পিটার ডি হাস। এ সেশনে প্যানেলিস্ট ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। বক্তব্য রাখেন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ড. মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ আরো অনেকে।

রিডিসকভারিং দ্য সাউথ এশিয়ান আইডেন্টিটিতে আলোচনা করেন পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক আসিফ ডারানিসহ আরো অনেকে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্রের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে পরবর্তী প্লেনারি সেশনে আলোচক হিসেবে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের পার্টিপ্রধান ডানা এল ওলডস, সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতির সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা জোভান রেটকভিকসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশন: টু ক্লোজ ফর কমফোর্ট?’ বিষয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

News Courtesy:

https://bonikbarta.net/home/news_description/321219/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2-%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95

Comments