গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে ভুয়া তথ্য-গুজব বাড়তেই থাকবে

22 April 2024

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে গতকাল ‘দ্য ওয়ার এগেই্নস্ট মিসইনফরমেশন কন্টিনিউস : সিএমআইবি র‌্যাপ আপ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবেলার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে গত এক বছরে ‘বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবেলা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক বছরব্যাপী সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে।

গতকাল এ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, এই ভুয়া তথ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও হয়তো নতুন কোনো ভুয়া তথ্যের প্রচার হবে। দেশে যতদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন ভুয়া তথ্য, গুজব বাড়তেই থাকবে। তিনি প্রকল্প বিষয়ে বলেন, সিজিএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ডের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত ফ্যাক্ট-চেকিং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে এবং পাঁচটি বড় শহরে কর্মশালা পরিচালনা করে। প্রকল্পটি ভুল তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক ভিডিও বক্তৃতা এবং টিভি টকশোও পরিচালনা করেছে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি বলেন, যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ছে, সাংবাদিকদের কাজ আরো কঠিন হচ্ছে। তিনি সিজিএসকে ধন্যবাদ জানান নিউ মিডিয়ার যুগে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সাথে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। সে ব্যাপারে তার বক্তব্য হলো- হেলথ-চেকাপের মতো ফ্যাক্টচেকিংয়ের কাজ ক্রমাগতভাবে করে যেতে হবে। স্টিফেন বলেন, ভুয়া তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সাথে এ বিষয়টি সংযুক্ত করা যেতে পারে, যেভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং নরওয়েতে’ করা হচ্ছে, যাতে করে পরের প্রজন্মকে ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে শিক্ষিত করা যায়।

দেশে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে সিজিএস’র ধারাবাহিক কার্যক্রমের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে একটি প্রশ্ন উত্তর পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত উপস্থিত সাংবাদিকরা।

News Courtesy:

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/829622/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A7%87#google_vignette

Comments