‘ভোটারদেরই ঠিক করতে হবে তারা কেমন বাংলাদেশ চান’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবারের নির্বাচনে ভোটারদেরই ঠিক করতে হবে তারা ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান। ভুল করলে দেশ ও জাতির জন্য বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে নতুন ভোটাররা বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে শিক্ষিত ভোটাররা এবারের নির্বাচনে বড় ধরনের ফ্যাক্টর হতে পারে। শিক্ষার হার বাড়ার কারণে শিক্ষিত বেকারের হারও বাড়বে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের বেশি করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিতে হবে, যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে। তারা যেন দেশের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। এজন্য আগামী দিনের সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। মঙ্গলবার রমনার ইস্কাটন গার্ডেনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেন্টার ফর গবর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘একটি মানসম্মত নির্বাচনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতেও এ ধরনের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। এবারও হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, দেশের সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য সরকারী ও বেসরকারী খাতকে সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত। এতে দেশ লাভবান হবে। বেকারত্বের হার কমবে। শিক্ষিত বেকারদের বেশি করে প্রযুক্তির আওতায় আনতে হবে; যাতে তারা বেশি করে স্বাবলম্বী হতে শেখে। এতে বেকারত্বের হার যেমন কমবে তেমনি দেশও লাভবান হবে। মানুষের প্রযুক্তি সুবিধা আরও নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টিও প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়া দেশে আরও বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে; যাতে বেশি বেশি বিনিয়োগ হয়।

 

সেন্টার ফর গবর্নেন্সের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে কী নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পিচ এ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মানজুর হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মুহাম্মদ জমির, সাবেক সচিব এ এইচ মোফাজ্জল করিম, বাংলাদেশ পলিটিক্যাল সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও সেন্টার ফর গবর্নেন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম আতাউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ডালি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এম ইনামুল হক ও সেন্টার ফর গবর্নেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মানজুর আহমেদ চৌধুরী।

 

News Courtesy: http://web.dailyjanakantha.com

Comments