টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে চলতে হবে

১৫০ কোটি জনসংখ্যা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ভারত বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্বায়নে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন অবজার্ভ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) প্রেসিডেন্ট সমীর সরণ। গতকাল সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্দো প্যাসিফিক’ শীর্ষক পাবলিক লেকচারে তিনি এই মন্তব্য করেন। সমীর বলেন, আমাদের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে হলে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ছাড়াও আফ্রিকা ও অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

সিজিএস’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় পাবলিক লেকচারের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ’র (সিজিএস) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’র (বিআইআইএসএস) অডিটরিয়ামে আয়োজিত লেকচারে উপস্থিত ছিলেন কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ অন্য পেশাজীবীরা।

 

সমীর সরণ বলেন; বাংলাদেশ এবং ভারতের লক্ষ্য এক, তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে উভয়েই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। তবে এখানেই শেষ নয় বাংলাদেশ ও ভারতকে একসঙ্গে আরও অনেক পথ চলতে হবে। এজন্য দু’দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সাংস্কৃতিক বিনিময়। তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এক্ষেত্রে উভয় দেশকে এই অঞ্চল ছাড়াও আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে। এই ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে সমীর বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অন্যান্য দেশ উপকৃত হবে।

 

সমীর সরণের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রসমূহ, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার মধ্যে ছিল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, রোহিঙ্গা সমস্যা, দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি এবং পানি বণ্টন চুক্তির মতো অনিষ্পন্ন বিষয়। বক্তারা বলেন, ভারতের মতো একটি বড় দেশ থাকা সত্ত্বেও মায়ানমার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পাঠিয়েছে। এই ঘটনা এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষায় ভিন্ন নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন বক্তারা।

 

এসব প্রশ্নের উত্তরে সমীর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতকে নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

News Courtesy: http://print.thesangbad.net/

 

Comments