বাংলাদেশের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট গ্রহণ ভারত কি ভাবছে

স্টাফ রিপোর্টার: পাবলিক বক্তব্যে বক্তারা জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট গ্রহণ ভারত কি ভাবছে এবং তিস্তার পানি চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সেটার সুরাহ কিভাবে করতে চান। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা জিপিএ-৫ নির্ভর হয়ে উঠেছে এ নিয়ে ভারতের থিঙ্কট্যাংকের কি ভাবনা রয়েছে।

 

গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্টাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভার্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ভারত বাংলাদেশ এবং ইন্ডো-প্যাসিফিক বিষয়ে এক পাললিক লেকচারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভারতের থিঙ্কট্যাংক খ্যাত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেনের (ওআরএফ) সভাপতি ড. সমির সরেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান প্রফেসর আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

বক্তরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট গ্রহণ ভারত কি ভাবছে এবং তিস্তার পানি চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সেটার সুরাহ কিভাবে করতে চান। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা জিপিএ-৫ নির্ভর হয়ে উঠেছে এ নিয়ে ভারতের থিঙ্কট্যাংকের কি ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত কি করছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়।

 

ড. সমির সরেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট গ্রহণ ভারত কি ভাবছে আপনাদের এমন প্রশ্নে আমি আসলেই বিব্রত। তিস্তা চুক্তি এদেশের মানুষের অধিকার বলেছেন এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও অনেক ভাবার রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যেতে চায়।

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশর তরুণ প্রজন্মের সাথে সাক্ষাতকালে বলেছেন, ‘শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ।, দুই দেশই অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। সে জন্য আমাদের যৌথ আকাক্সক্ষা, দুদেশের সম্পদ ও সামর্থ্য যৌথভাবে অন্বেষণের সর্বোত্তম পন্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের রয়েছে অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পারিবারিক বন্ধন। দুদেশের অংশীদারিত্ব কীভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে, সে ব্যাপারে নতুন পন্থা উদ্ভাবনে চিন্তা-চেতনায় প্রত্যয়ী হতে হবে।

 

News Courtesy: http://www.dailysangram.com

Comments