একজন উদ্যোক্তাকে শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়মের সম্মুখীন হতে হয়
27 July 2022
ঐতিহাসিকভাবে দুর্নীতি বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এর ব্যাপ্তি সর্বক্ষেত্রে। হাসপাতাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের সব স্তরেই বিশেষ করে সরকারের সব প্রতিষ্ঠানই দুর্নীতিগ্রস্ত। যেকোনো ধরনের ব্যবসার শুরু থেকেই একজন উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সম্মুখীন হতে হয়, যা তার ব্যবসাকে সচল করার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে হবে। সর্বোপরি দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রথমেই দুর্নীতির কারণগুলো উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক আঞ্চলিক আলোচনা সভায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হওয়া দুর্নীতি এবং এ দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি সমন্বিত প্লাটফর্ম তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের (সিআইপিই) সহায়তায় আয়োজিত আলোচনা সভাটি সম্প্র্রতি রংপুরের আরডিআরএস মিলনায়তনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্যোক্তারা বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লোন দিতে অনাগ্রহী এবং এ নিয়ে সরকারের প্রণীত আইন ব্যাংকগুলো মানছে না।
নারী উদ্যোক্তারা বলেন, সামাজিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের নারী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোয় নারীদের কথা বলার জায়গা এখনো সংকুচিত।
বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোয় স্বজনপ্রীতির ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায় এবং এসব সংগঠনগুলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে উদাসীন। বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগোষ্ঠীর উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিভিন্ন বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। জাতীয় পর্যায়ের ব্যাপক দুর্নীতির প্রভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের সব পর্যায়ে দুর্নীতি এমনভাবে বিস্তৃত হয়েছে যে যার কাছে দুর্নীতির অভিযোগ করা হবে বা বিচার চাওয়া হবে তিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত।
News Courtesy: