নারী তরুণ ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের আহ্বান
কাগজ প্রতিবেদক : ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নারী, তরুণ এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মতামত প্রকাশের সুযোগকে সীমিত করে। বর্তমান বাস্তবতায় নারী, তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটার- এই তিনটি গোষ্ঠী বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি গোষ্ঠী নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে। আর তাই দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নারী, তরুণ এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সক্রিয় ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জনগোষ্ঠীর অভিমত বুঝতে তাদের ভোট দিতে উৎসাহিত করার পক্ষে মত দেন তারা।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ : তরুণ, নারী ও সংখ্যালঘুদের কেন ভোট দেওয়া উচিত?’ শীর্ষক এক বৈঠকে এ মত দেন তারা। গতকাল বুধবার সকালে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই বৈঠকের আয়োজন করে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিজিএসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) প্রেসিডেন্ট ইজাজ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, ব্লুাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ, ড. সাদেকা হালিম প্রমুখ।
বৈঠকে উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়; চলতি বছরের জুলাই মাসে আটটি বিভাগের বিওয়াইএলসি পরিচালিত এক জরিপে তিন হাজার তরুণের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। ওই জরিপে দেখা গেছে; ৭৮ শতাংশ উত্তরদাতা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী। ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, তাদের নীতি প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে। যুবকদের জন্য চারটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হলো- শিক্ষা সংস্কার, যুব বেকারত্ব, সামাজিকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। তরুণদের পক্ষ থেকে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা, মাদক চোরাচালান ও মাদক ব্যবহার বন্ধে আইন প্রয়োগকারী এবং পুনর্বাসনের সুবিধা প্রদান; সংবিধানে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর সমান অধিকার নির্ধারণ, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা, যুবকের দক্ষতা বিকাশে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া, সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
News Courtesy: http://www.bhorerkagoj.com